সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত সংলগ্ন কুশিয়ারা নদীতে ভেসে আসা এক বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং পুলিশের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি আব্দুল মালিক (৪২) সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার মৌলভীরচক গ্রামের বাসিন্দা।
বিজিবির সূত্রে জানা যায়, ১৫ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বিকেল আনুমানিক ৪টা ৪০ মিনিটে জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) অধীন মানিকপুর বিওপির আওতাধীন এলাকায় স্থানীয়রা কুশিয়ারা নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। এরপর মানিকপুর বিওপি কমান্ডারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং দেখে যে মরদেহটি নদীর ভারতীয় অংশে অবস্থান করছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি মো. আব্দুল মালিক গত ৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে নিখোঁজ হন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন এবং কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নদীতে পড়ে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
পরবর্তীতে ১৬ জুলাই রাতে বিএসএফ-এর সহযোগিতায় ভারতীয় পুলিশ মরদেহটি নদী থেকে উদ্ধার করে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। বিষয়টি ১৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট ও জবাইনপুর বিএসএফ ক্যাম্পকে অবহিত করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ জুলাই ২০২৫, রাত ৮টা ৪০ মিনিটে জকিগঞ্জ সীমান্তের আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট (আইসিপি) এলাকায় বিজিবি ও বিএসএফ-এর উপস্থিতিতে ভারতীয় পুলিশ মরদেহটি বাংলাদেশ পুলিশের (জকিগঞ্জ থানা) কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে। পরে বাংলাদেশ পুলিশ যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার, পিএসসি,
অধিনায়ক, জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি), বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।